নিউজ ডেস্কঃ কুনিকা সদানন্দ কিছু দিন আগেই জানিয়েছিলেন, কুমার শানুর সঙ্গে তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার সংগীতশিল্পীর সাবেক স্ত্রী রিতা ভট্টাচার্য বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন— অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার ওপর অত্যাচার হয়েছে।
কুমার শানু ও রিতার ভট্টাচার্যের তৃতীয় সন্তান জান কুমার শানু। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার বিউটি পার্লারে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। ‘আশিকি’ সিনেমার পরে বিপুল সাফল্য আসে শানুর জীবনে। সেই সিনেমার গানগুলো সফল হওয়ার পর পারিশ্রমিকও বেড়ে যায় অনেকটা। তখন নাকি শানুর আচরণও বদলে গিয়েছিল। রিতা ভট্টাচার্য বলেন, তৃতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর নানা সমস্যার মুখে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখন ওর একটা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও ছিল। সেটা এতদিনে প্রকাশ্যে এসেছে।
সাবেক শানুপত্নী বলেন, অথচ আমাকে সেই সময়ে আদালতে নিয়ে গিয়েছিল। তখন আমার খুব অল্প বয়স। মনে হয়েছিল, আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আমার পরিবারও চমকে গিয়েছিল। তবে এক বছর আগে ও একটা পার্টিতে বলেছিল— ওর সাফল্যের নেপথ্যে নাকি আমার অবদান রয়েছে।
বিয়ের পর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, সাজগোজ করার অনুমতি ছিল না শানুর স্ত্রীর। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শুধু পাশে ছিলেন জা। এমনকি খাওয়াদাওয়ার ওপরেও ছিল বিধিনিষেধ। রান্নাঘরে তালা দিয়ে রাখা হতো।
রিতা বলেন, ওরা যখন বাইরে বের হতো, রান্নাঘরে তালা দিয়ে দিত। তখন আমি ভাত খাওয়ার জন্য বৌদির কাছে যেতাম। আমি নিজেই একটু চাল কিনে রেখেছিলাম। বৌদির রান্নাঘরে গিয়ে রেঁধে নিতাম। তার পরে খেতে পারতাম।
শিশুর খাবার কিনতেও বেগ পেতে হতো রিতাকে। দোকানে শিশুর খাবার আনতে গেলে বলা হতো—পরিবার থেকে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। কুমার শানুপত্নী বলেন, জান যখন আমার গর্ভে, তখন আমি ঠিক করে খেতে পর্যন্ত পাইনি। প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তাম।
উল্লেখ্য, ‘বিগ বস’-এ গিয়ে জান কুমার শানুও বাবার সঙ্গে তার সম্পর্কের সমীকরণের কথা তুলে ধরেছিলেন। ১৯৮৪ সালে শানু ও রিতার বিয়ে হয়েছিল। তাদের তিন সন্তান। ১৯৯৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।