• রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠী আজ

admin
আপডেটঃ : রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ আজ রবিবার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের। কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খ আর উলুধ্বনির মাধ্যমে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। মণ্ডপ-মন্দির মুখরিত হয়ে উঠবে ধূপ-আগরবাতির গন্ধে। ভক্তরা মেতে উঠবেন আরাধনায়। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে আগামী ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশজুড়ে প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটিসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারাও।

এর আগে শনিবার সারা দেশের পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হয়। মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আবাহন বা মহালয়ার মধ্য দিয়ে সূচনা হয় দেবীপক্ষের। সাধারণত দেবীপক্ষ শুরুর সাত দিন পর পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে থাকে।

এ বছরের দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, আজ রবিবার মহাষষ্ঠী। এদিন ষষ্ঠীতিথিতে সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা শুরু হবে। চণ্ডিপাঠে মুখরিত থাকবে সব মণ্ডপ-মন্দির এলাকা। দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিনে আগামীকাল সোমবার মহাসপ্তমী। এরপর মঙ্গলবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা এবং বুধবার মহানবমী শেষে বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে।

দুর্গোৎসব চলাকালে প্রতিদিনই অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগআরতির আয়োজন করা হবে। এছাড়া দেশজুড়ে মণ্ডপে মণ্ডপে আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, নাটক, নৃত্যনাট্যসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।

রাজধানীর কেন্দ্রীয় পূজা উৎসব হিসাবে পরিচিত ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পূজামণ্ডপে আজ পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা ঘটবে। পূজার পাশাপাশি ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও শেষ দিনে বিজয়া শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। রামকৃষষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপে মহাষ্টমী ও কুমারী পূজার দিনে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ এবং র‌্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা এবং রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ২,৮৫৭টি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ৪৩০ প্লাটুন সদস্য। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির ২৪টি বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ