নিউজ ডেস্কঃ ঢালিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা আহমেদ শরীফ। ৫৩ বছর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ৮০০ বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু হুট করেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই থাকছেন। তবে সুযোগ পেলেই দেশে আসেন। কদিন আগেই দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে না থাকার প্রসঙ্গে তিনি বললেন, দেশে থাকলে তাকে অন্যের কাছে হাত পেতে বা ভিক্ষা করে খেতে হতো।
বাংলা সিনেমার প্রয়াত সকল শিল্পীদের স্মরণে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিল। সেখানে হাজির হয়ে আহমেদ শরীফ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন মানুষকে দেশে থাকতে হলে কমপক্ষে একটা বাসস্থান লাগে, খাওয়া লাগে। আর চলাফেরার জন্য বাস বা সাইকেল হলেই হয়। বর্তমানে কতজন লোক বলতে পারবেন- তার এক মাসের খাওয়ার নিশ্চয়তা আছে। নেই। সবাই চিন্তিত সামনে মাস তার কী করে চলবে। এসব থেকে বাঁচার জন্য আজ শিল্পীরা বিভিন্ন রাস্তা খুঁজে নিচ্ছে। এর কারণ, এখানে আনন্দ বিনোদন বা নিশ্চিন্তে থাকার নিরাপত্তা নেই। আজ আমি যদি বাংলাদেশ থাকতাম তবে আমি নিশ্চিত আমাকে অন্যের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে খেতে হতো। আমরা চাই দেশ ভালো হোক, দেশ এগিয়ে যাক। সেই সঙ্গে শিল্পীদের স্থায়ী ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাদের যেনো খাওয়া-পরার চিন্তা না করতে হয়। সে ব্যবস্থাম থাকা জরুরি।’
সরকারের কাছে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য একটা নিশ্চিন্ত জীবন ব্যবস্থা চাইবো। শিল্পীরা যেন একটা ভালো জীবনের নিশ্চয়তা পায়। শিল্পীদের যেনো কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি দিতে না হয়।’
ঢালিডের প্রবীণ শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম আহমেদ শরীফ। চোখের সামনে দেখেছেন অনেক উত্থান পতন। সালমান শাহ’র মৃত্য থেকে শুরু করে শাবানার বিদেশে চলে যাওয়া, সেই সঙ্গে দেখেছেন নায়ক মান্নার মৃত্যুও।
আহমেদ শরীর বলেন, ‘সালমান শাহ নেই, শাবানা চলে গেলেন দেশের বাইরে। মান্নাও মারা গেলেন। এসব ঘটনা আমার চোখের সামনে। আমার থেকে বড় সাক্ষী আর কেউ নেই। আজ যারা উপস্থিত আছেন আমি বোধহয় তাদের সবার সিনিয়র। অভিনেতা হিসেবেও আমি সফল। ৫৩ বছর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ৮০০ বেশি ছবিতে অভিনয় করে দর্শক আমাকে ভালোবেসে। খল চরিত্রে অভিনয়ের কারণে দর্শক যেটুকু গালমন্দ করেছে সেটা আমার সফলতা বলতে পারি।’