জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে ২০ বছরের বেশি সময় কাজ করা জোলির শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়েছে, গাজা এখন ‘ফিলিস্তিনিদের ও তাদের সাহায্যকারীদের জন্য এক বিশাল গণকবরে’ পরিণত হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আকাশপথ, স্থল ও সমুদ্রপথে আবারও গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে এবং তা ক্রমাগত জোরদার করছে। তারা মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করছে ও ইচ্ছাকৃতভাবে জরুরি সহায়তা আটকে দিচ্ছে। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের জীবন আবারও পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা গাজার মানবিক সাহায্য ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পোস্টটিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজার ওপর চলমান নিষ্ঠুর ও প্রাণঘাতী অবরোধ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের জীবন এবং সেখানে কর্মরত মানবিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবিও তোলা হয়। পোস্টের শেষে যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশাও প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত নভেম্বর মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এ ছাড়া গাজায় পরিচালিত এই যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলাও চলছে।