আনাদোলু এজেন্সি জানায়, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরের তেল আল-যাতার এলাকায় আল-মিকদাদ পরিবারের বাড়িতে বিমান হামলায় একই পরিবারের ১০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে পাঁচটি শিশুও ছিল।
একই অঞ্চলের আল-তুওয়াম এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য তৈরি একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও দুই জন নিহত ও ছয়জন আহত হন।
জাবালিয়ায় বেসামরিক লোকজনের একটি দলের ওপর চালানো আরেকটি হামলায় এক যুবক নিহত হন। গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস শহরে একাধিক জায়গায় চালানো হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
খান ইউনিসের পূর্ব দিকের বানি সুহাইলায় আল-বারাকা পরিবারের বাড়িতে চালানো বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হন এবং অনেকেই আহত হন।
আল-ই’তিসাম স্টেডিয়ামের পাশে আবু আকার পরিবারের বাড়িতে চালানো আরেকটি হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি নিহত হন।
একইসঙ্গে, খান ইউনিস শহরের দক্ষিণে একটি সেলুনে চালানো ড্রোন হামলায় ছয়জন নিহত হন। যাদের মধ্যে একজন শিশু ও দুই ভাই ছিল। খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল আবাসান আল-কাবিরায় একটি বাড়িতে হামলায় আরও কয়েকজন নিহত হন।
বাতান আল-সামিন এলাকায় বেসামরিক লোক বহনকারী একটি গাড়িতে বিমান হামলায় একজন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
গাজা শহরের পূর্বাঞ্চল— বিশেষ করে শুজাইয়া ও জায়তুন এলাকায় ভারি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় একাধিক আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা জুড়ে বিমান, ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে বলে জানায় চিকিৎসাকর্মী, সিভিল ডিফেন্স দল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়া, গাজায় পরিচালিত এই যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) মামলা চলছে।