বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন এমন দুটি উপাদান, যা আধুনিক সভ্যতার চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। মানবসমাজের বিভিন্ন সমস্যার টেকসই সমাধান এবং উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচনে সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, এ দেশের তরুণদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতে হবে। এ জন্য সরকারকে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনের মাধ্যমে একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে।
এ দেশের শিক্ষিত তরুণদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রাশেদুর রহমান। তিনি বলেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে তরুণদের, বিশেষ করে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এ দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশই তরুণ। তাই এ দেশের উন্নয়নে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদের উৎসাহ ও যথাসম্ভব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া গেলে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সহজ হবে।
সৃজনশীলতা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে বলে মনে করছেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, উদ্ভাবনের সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক পিছিয়ে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো সৃজনশীলতা ও গবেষণাবান্ধব পরিবেশের ঘাটতি।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুধু পাঠদানের গণ্ডিতে আটকে না রেখে গবেষণা ও উদ্ভাবনমুখী করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়ক অবকাঠামো, ল্যাবরেটরি, গবেষণা অনুদান ও স্টার্টআপ সহায়তা জরুরি।