• বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ – ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ ডলারের দাম ঠিক করবে বাজার : গভর্নর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীরা ২ মাস ধরে নিখোঁজ স্কুল সামিয়া, সন্ধান চায় পরিবার কাকরাইল না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জে আহত জবির ২৫ শিক্ষার্থী ঢামেকে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে কলমবিরতি আ. লীগ নিষিদ্ধ এবং সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আমেরিকা সমর্থন করে না -স্টেট ডিপার্টমেন্ট

২ মাস ধরে নিখোঁজ স্কুল সামিয়া, সন্ধান চায় পরিবার

admin
আপডেটঃ : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

  • নিউজ ডেস্কঃ চলতি বছরের ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ হয় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এলমি হোসেন সামিয়া (১৩)। অপহরণের ২ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ মেলেনি। এ নিয়ে হতাশায় সামিয়ার পরিবার। এ ব্যাপারে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের দাঁসেরগাঁও গ্রামে। 

বুধবার (১৪ মে) মেয়েকে ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

জানা যায়, একই এলাকার শাহিন মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে আবুল হোসেনের। বিরোধের জেরে গত ৭ মার্চ শাহিনের পুত্র অপূর্ব (১৯) সামিয়াকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অপূর্ব, শাহিন ও পপি আক্তারকে আসামি করা হয়। এরপর শাহিন ও পপি আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত শাহিনকে কারাগারে পাঠিয়ে পপি আক্তারকে জামিন দেই।

অভিযোগ করে সামিয়ার বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই এলাকার হওয়ায় অভিযুক্ত অপূর্ব ও তার পরিবারের সঙ্গে আমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। শুধু তাই নয় আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে অপূর্ব উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে তাদের পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে আমি রাজি হয়নি। এ কারণে যেকোনো সময় মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে রাস্তায় গেলে অভিযুক্তরা আমার মেয়ে সামিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের নিয়ে তাদের বাড়িতে গেলে কোনভাবেই তারা সামিয়াকে ফেরত দিতে রাজি হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আত্মসমর্পণ করায় আদালত শাহিনকে কারাগারে পাঠাই। এখন পর্যন্ত  আমার  মেয়ের কোন খোঁজ না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমার মেয়েকে উদ্ধারের সর্বোচ্চ সহায়তা কামনা করছি। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ইলমি হোসেন সামিয়া ও অপূর্বর মধ্যে প্রেমঘটিত বিষয় থাকতে পারে। তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সামিয়ার মা আরিফা আক্তার আঁখি, দাদা হযরত আলী, গিয়াস উদ্দিন, চাচা জসীম উদ্দিন, চাচাতো ভাই নোবেল।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ