গত ১৯ এপ্রিল এই আহ্বান জানানোর পর গতকাল ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৯০৯টি ইমেইল পাঠিয়েছেন নাগরিকরা। যার মধ্যে ৪০০টি ইমেইল পর্যালোচনা করে মোট ১২৮টি আমলযোগ্য অভিযোগ ও পরামর্শ চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য নিজেই জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে নাগরিক অভিযোগ ও পরামর্শ গ্রহণ কার্যক্রমের আপডেট জানান।
যেখানে তিনি লিখেন, গত ১৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ইমেইলের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের নিকট হতে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়ম সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানান। এর প্রেক্ষিতে ১১মে (দুপুর ১২:৪৫ পর্যন্ত) পর্যন্ত মোট ৯০৯টি ইমেইল পাওয়া গেছে।’
নাগরিকদের পাঠানো এসব ইমেইল প্রাথমিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা নিয়ে উপদেষ্টা জানান, ‘প্রথম ৪০০টি ইমেইল পর্যালোচনা করে ১২৮টি আমলযোগ্য অভিযোগ ও পরামর্শ চিহ্নিত করা হয়েছে।’
এরপর কোন মন্ত্রণালয়ের কতগুলো অভিযোগ সেটিও পোস্টে বিস্তারিত আকারে তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অভিযোগ-
– স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত: ৪৪টি
– যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত: ৪টি
অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শ:
– স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ৩২টি
– ভূমি মন্ত্রণালয়: ১৬টি
– বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন: ৮টি
– স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: ৬টি
– আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়: ৫টি
– রেলপথ মন্ত্রণালয়: ৫টি
– পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়: ২টি
– সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়: ৪টি
– প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়: ৩টি
– বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়: ২টি
– শিক্ষা মন্ত্রণালয়: ২টি
– বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: ২টি, এবং
– প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সরকারি কর্ম কমিশন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন: প্রতিটি সম্পর্কিত ১টি করে।
উল্লেখ্য, ১৭টি অভিযোগ ও পরামর্শ একাধিক মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এসব অভিযোগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টা জানান, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তাদের সম্পর্কিত অভিযোগ ও পরামর্শগুলোর নিষ্পত্তিতে কার্যক্রম শুরু করেছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের বিষয়গুলো যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বাকি ইমেইলসমূহ পর্যালোচনার কাজ চলমান রয়েছে।’