স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দফতরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমাস “টমি” পিগট এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনের উল্লেখ করে বলেন যে, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করায় দলটির রাজনৈতিক পরিচয় মুছে ফেলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়েছে। তিনি আগের এক ব্রিফিংয়ে সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান তিনি।
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র মাইকেল পিগট বলেন, আমরা জানি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যতক্ষণ না দলটির বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের রায় আসে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমরা বাংলাদেশের কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সবার জন্য ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি। তিনি সব দেশের প্রতি, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে, মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা রক্ষা করার আহবান জানান।
পৃথক প্রশ্নে ওই প্রশ্নকারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উগ্র মতাদর্শ ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং হারুন ইজহারের (যাকে তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইয়্যেবা’র সদস্য বলে উল্লেখ করেন) মধ্যকার কথিত বৈঠকের কথা এবং বাংলাদেশে কাশ্মির ইস্যুতে সহিংসতা উসকে দেওয়া নেতাদের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চান।
এই দাবির জবাবে মার্কিন মুখপাত্র পিগট বলেন, তিনি আগের প্রশ্নের উত্তরে যে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন, সেটাই পুনরায় বলবেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরের বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দেয় এবং এই অংশীদারিত্ব আরো গভীর করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও কাজ করে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলোর বিষয়ে তিনি এর বেশি কিছু যোগ করেননি, বরং আগের সাধারণ বিবৃতির কথাই পুনর্ব্যক্ত করেন।