• বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ – ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পরামর্শ ডলারের দাম ঠিক করবে বাজার : গভর্নর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীরা ২ মাস ধরে নিখোঁজ স্কুল সামিয়া, সন্ধান চায় পরিবার কাকরাইল না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জে আহত জবির ২৫ শিক্ষার্থী ঢামেকে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে কলমবিরতি আ. লীগ নিষিদ্ধ এবং সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আমেরিকা সমর্থন করে না -স্টেট ডিপার্টমেন্ট

নোয়াখালীতে যুবলীগ কর্মীকে খুন, মরদেহ ফেলতে গিয়ে আটক ২

admin
আপডেটঃ : বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

  • নিউজ ডেস্কঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জাকির হোসেন (৪০) নামে এক যুবলীগ কর্মীর মরদেহসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে বেগমগঞ্জের পলোয়ানের পোল এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুরে সোনাইমুড়ীর সোনাপুর ইউনিয়নের কোটবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়।

এলাকাবাসী জানায়, ট্রাকপ্রতি দুইশো টাকা কমে মাটি বিক্রির দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত জাকির হোসেন সোনাপুর ইউনিয়নের তিনতেড়ী এলাকার হাসানপুর গ্রামের দুর্গা পাটোয়ারী বাড়ির রফিক মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মাটি ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব মেটাতে বিএনপি কর্মী বাবু, নজরুল, সাদ্দাম ও তুহিন দুপুরে জাকিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে মরদেহ বেগমগঞ্জের পলোয়ানের পোল এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়ার সময় বাবু ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালককে আটক করা হয়। এসময় তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাকির হোসেন বিগত সময়ে একাধিক হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা চলমান আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাকির তাবলিগে যান। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে মাটির ব্যবসা শুরু করেন।

জাকির প্রতি ট্রাক মাটি এক হাজার ৪০০ টাকা এবং বিএনপির লোকজন এক হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করতেন। দুইশো টাকা কমে কেন মাটি বিক্রি করেন, এ নিয়ে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে জাকিরের দ্বন্দ্ব হয়।

নিহতের স্ত্রী ফাতিমা বেগম হিরা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন তাকে (জাকির) উঠিয়ে নিয়ে যায়। বিএনপির বাবু নামে একজনকে স্থানীয়রা আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি আমার স্বামী মারা গেছে।

জানতে চাইলে অভিযোগ নাকচ করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, বিএনপি কোনো নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।

তবে এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসহাক খন্দকারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ রেখে পালানোর সময় স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে। মরদেহ একই হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, জাকির একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়া বেগমগঞ্জ থানায় ডাকাতি, ছিনতাইসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ