• শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

admin
আপডেটঃ : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

  • নিউজ ডেস্কঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল শাখা থেকে আলাদ প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১০(২) অনুযায়ী উপাচার্য পদে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত উপাচার্য পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১২(২) অনুযায়ী উপ-উপাচার্য পদে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত উপ-উপাচার্য পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।

এর আগে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিনাগত রাত ১টার দিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেয়া হবে।

পরদিন বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে সেখানে নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হবে।

তবে ওইদিন কুয়েটের উপ-উপাচার্য দাবি করেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। উল্টো তাকে অব্যাহতি না দিতে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টাকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবেও দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এসব ঘটনায় কুয়েটের উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন।

এ পর্যায়ে গত বুধবার দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।

অবশেষে দাবি পূরণ হওয়ায় ৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ