মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
চিকিৎসক জনির অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২ আগস্ট সকালে বিনা ওয়ারেন্টে তার বাসায় সিআইডির কয়েকজন সদস্য অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি দাবি করেন, তার নামে কোনো মামলা, জিডি কিংবা এজাহারে নাম না থাকলেও প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই তাকে দাগি আসামি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাকে একটি অজ্ঞাত বিল্ডিংয়ের নবম তলায় নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। দুই ঘণ্টা ধরে তাকে পেটানো হয় এবং ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই নির্যাতনের ফলে ৪৩ দিন কারাকাসের পুরো সময় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। রিমান্ডের তৃতীয় দিনেও তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
জনির দাবি, তার স্ত্রীকে ডেকে এনে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিবারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর মালিবাগের একটি হোটেলে টাকা হস্তান্তরের সিসিটিভি ফুটেজ ও অডিও রেকর্ড তার পরিবারের কাছে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তাকে রাজনৈতিক ইস্যুতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার পরিবারকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে হুমকি দেওয়া হয়। ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করে ৩০ ঘণ্টা গুম করে রাখা হয় এবং ২০০৫ সালের একটি পুরোনো প্রশ্নফাঁস মামলায় জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়।
চিকিৎসক জনি অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারের প্রকৃত তারিখ ২ আগস্ট হলেও আদালতের নথিতে ৩ আগস্ট দেখানো হয়েছে, যা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর।
তিনি বলেন, তার আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এখন তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।