★ নিউজ ডেস্কঃ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের নিকটবর্তী মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া অনেককে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে লোকজন খালি হাতে উদ্ধারপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
শনিবার ব্যাংককে ধসে পড়া ৩৩ তলা ভবনটিতে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। ধ্বংসাবশেষের নিচে প্রায় অর্ধশত মানুষ আটকা পড়ে আছেন, তাদের মধ্যে মিয়ানমার থেকে যাওয়া শ্রমিকেরাও আছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের হিসাব অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি দেশটির বার্ষিক অর্থনৈতিক উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার তিনি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয় পরিদর্শন করেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে এবং যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জান্তা প্রধান।
চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে এই ভূমিকম্পের ধাক্কায় মিয়ানমারের বিমানবন্দর, সেতু ও মহাসড়কগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মিয়ানমারের বিরোধীদলগুলোর জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) জানিয়েছে, অন্তত ২৯০০টি ভবন, ৩০টি মহাসড়ক ও ৭টি সেতু ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।