মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আলাদা স্বতন্ত্র একটি প্লাটফর্ম। তারা নতুন করে কাউন্সিল করবে শুনেছি। নতুন নেতৃত্ব আসলে আশাকরি বিশৃঙ্খলা দূর হবে। আর হান্নান মাসউদের বিষয়টি আমরা শুনেছি, তদন্ত করছি, খতিয়ে দেখছি।
এদিকে, মোহাম্মদপুর থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আটক নেতাদের বিষয়ে কেন থানায় গিয়েছেন, তা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক স্ট্যাটাসে হান্নান মাসউদ লেখেন, মোহাম্মদপুর থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হয় মব সৃষ্টির চেষ্টাকালে। যার ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয়ে স্টুডেন্টরা ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছিল।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি। যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রুজু করেননি এবং করতেও চাচ্ছিল না। ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিল, যেটা পরবর্তীতে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত অ্যারেস্ট হবে। ডিএমপিকে তাদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৯ মে) রাতে ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে একজন পাবলিসার্সকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তার বাসার সামনে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। হেফাজতে নেওয়ার পর সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।