নিউজ ডেস্কঃ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আদর্শের মানদণ্ডে পৌঁছাতে হলে এবং সুন্দর সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গঠন করতে হলে, আমাদের দুটি গুণের প্রয়োজন: এক. সত্যবাদিতা, দুই. ন্যায়পরায়ণতা। এ দুটি মানুষের এমন মৌলিক গুণ, যা মানুষকে সততার সঙ্গে বসবাস করতে উদ্বুদ্ধ করে। সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে রাখে। যদি সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রত্যেক সদস্য এই গুণ দুটির অধিকারী হন, তাহলে সেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কখনো অন্যায় অবিচার থাকবে না।
যেমন, প্রিয় নবী (সা.) নবুওয়াত পেয়েছেন ৪০ বছর বয়সে। কিন্তু শৈশবকালেই তিনি আল-আমিন (পরম বিশ্বস্ত, ন্যায়পরায়ণ) আসসাদিক (সত্যবাদী) নামে পরিচিত ছিলেন। মক্কা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর সততা ও ন্যায়পরায়ণতার গল্প। যার ফলে পুরো হিজাজ ভূমি যখন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখনো মানুষ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের স্বপ্ন দেখত। তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন বলেই তাঁর কাছে আমানত রাখত। তাঁর কাছে ন্যায়বিচার চাইত।
ইতিহাস বলে, কাবা শরিফ পুনর্নির্মাণের সময় হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সব গোত্র দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। কে বা কারা এই মহা সৌভাগ্য অর্জন করবে। সবার দাবি আমরা করব। কেউই তাদের দাবি থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ। ফলে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয় পরস্পর গোত্রগুলোর মধ্যে। ন্যায়পরায়ণতার গুণের কারণে সেদিন প্রিয় নবী (সা.) এর সুষ্ঠু সমাধান করেন। গোত্রের প্রধানদের নিয়ে নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপন করেন এবং রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পথ বন্ধ করেন।
শুধু আমাদের নবীই নন, যত নবী-রাসুল আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেছেন, সবাই এই দুই গুণে সবার শীর্ষে ছিলেন। এ দুটি গুণ যার থাকবে, সে কখনো অন্যায়কারী হবে না। কারণ, এই গুণ দুটি আল্লাহ তাআলার। গুণ তিনি মহা সত্যবাদী। তিনি মহা ন্যায়পরায়ণ। সুতরাং যেকোনো দেশ ও রাষ্ট্রের সকল অন্যায় অবিচার তখনই বন্ধ হবে, যখন রাষ্ট্রের প্রতিটা সদস্য এই দুটি গুণের অধিকারী হবেন।
![]()