নিউজ ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিংয়ের কাছে কালিম্পং জেলার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে শুক্রবার রাতে ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ি পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তার প্রায় ৫০ মিটার নিচে খাদে গিয়ে পড়ে একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। গুরুতর আহত হন আরো তিনজন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষজন ও প্রশাসনের তৎপরতায় আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মেল্লি সিকিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাথমিক ধারণা, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির তীব্র আলোর ঝলকানিতে চালক মুহূর্তের জন্য মনোসংযোগ হারান, যার ফলেই ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য।
জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বজোজহাড়ির ৩ মাইল এলাকার বাসিন্দা কমল সুব্বা (৪৪)। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তার মেয়ে সমীরা সুব্বাও (২০) এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে জনুকা দর্জি (৩৫) এবং নিতা গুরুং (৫৮) এর। দুর্ঘটনায় আহতরাও একই এলাকার বাসিন্দা। আহত সুনীতা থাপা (৪০), সান্দ্রিয়া রাই (৮) এবং পাঁচ বছরের সামিউল দর্জি মেল্লি সিকিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আশঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলটি পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় রাতে ওই পথে গাড়ি চালানো বিপজ্জনক। সেখানে আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজ শুরু করতেও দেরি হয়। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গাড়িটি বজোজহাড়ি থেকে গ্যাংটকের দিকে যাচ্ছিল। পথের মধ্যে মেল্লি কিরণের কাছে গাড়িটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। স্থানীয় প্রশাসন নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে মেল্লি ও গ্যাংটক এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
![]()