• রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের সম্পদের ২৩ বস্তা নথি জব্দ

admin
আপডেটঃ : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য-সম্বলিত ২৩ বস্তা নথি উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আটক তার দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী উৎপল পাল ও আব্দুল আজিজের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই নথিগুলো জব্দ করা হয়।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে আরামিট গ্রুপের মালিকানাধীন এই নথি উদ্ধার করা হয়।

এসময় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও সিঙ্গাপুরে ৫৮২টি সম্পদের পাশাপাশি ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ক্যাম্বোডিয়াতেও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অবৈধ সম্পত্তির প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

দুদক সূত্র জানায়, রাত ৪টা ১৫ মিনিটে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পুলিশ ও অন্যান্য সাক্ষীর উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত নথিতে বিদেশে বাড়ি কেনা, ভাড়া থেকে আয়, রক্ষণাবেক্ষণ খরচসহ মানিলন্ডারিংয়ের সুস্পষ্ট আলামত রয়েছে।

জানা গেছে, ১৬ সেপ্টেম্বর কালুরঘাটের আরামিট গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নথিগুলো সরিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ইউসিবিএলের চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানের ড্রাইভার মো. ইলিয়াস তালুকদার। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের অভিযানের আগে তিনি বস্তাগুলো পাশের ওসমান তালুকদারের বাড়িতে সরিয়ে রাখেন। সেখান থেকেই সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুদকের একটি টিম অভিযান চালিয়ে জাবেদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উৎপল পাল ও আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করে। ১৮ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আদালত তাদেরকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া উৎপল পাল আরামিট গ্রুপের এজিএম হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশে সম্পদ তৈরি ও দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন। দুদকের হাতে আটক হওয়ার সময় তার কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব ডিভাইস থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

উৎপল পাল দেশ থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার প্রক্রিয়ার মূল হোতা বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করতেন।

অন্যদিকে আব্দুল আজিজ, আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের এজিএম হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি কেনাবেচা, ভাড়া ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ