• রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

সুদানের মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

admin
আপডেটঃ : শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ সুদানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি শহরের একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।

দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহরে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওই হামলা সংঘটিত হয়। এক জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করা হলেও গোষ্ঠীটি এখনও নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ভোরের প্রার্থনা চলাকালে ওই হামলা চালানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে আরএসএফের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। আল-ফাশের শহরের দখলে নিতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে আরএসএফ। এটি দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি। সেখানকার তিন লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক এই লড়াইয়ের ফাঁদে আটকা পড়েছেন।

চলতি সপ্তাহে নতুন করে শহরে হামলা শুরু করেছে আরএসএফ। শহরের বাইরে অবস্থিত বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে ভয়াবহ হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের (এইচআরএল) বিশ্লেষণ অনুযায়ী স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, শিবিরটির বড় অংশ এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।

সুদানের বিশ্লেষক ও অধিকারকর্মীদের আশঙ্কা, সাধারণ নাগরিকরা আরএসএফের রোষের শিকার হতে পারেন। কারণ তাদের অধিকাংশই আধাসামরিক বাহিনীটির দৃষ্টিতে শত্রু জনগোষ্ঠীর অংশ।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, সংঘাত ক্রমশ জাতিগত রূপ নিচ্ছে এবং প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার অভিযোগে দুপক্ষই সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার নথিতে দেখা গেছে, দখলকৃত এলাকায় অ-আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূলনীতি চালাচ্ছে আরএসএফ। সম্প্রতি ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, আল-ফাশেরকে অ-আরব জনগোষ্ঠীমুক্ত করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছে গোষ্ঠীটি।

অবশ্য এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে আরএসএফ। তাদের দাবি, কোনও জাতিগত সংঘাতে তারা জড়িত নয়।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ