• বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাটে বেঁচা-কেনা

admin
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানীজুড়ে কোরবানির পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। ধীরে ধীরে বাড়ছে বেচাকেনা। আগের দু-তিনদিনের তুলনায় বুধবার (৪ জুন) ঢাকার প্রায় সব হাটে পশু বেচাকেনা বেড়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন অস্থায়ী ও স্থায়ী হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। তবে লক্ষণীয় যে, বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে।

বুধবার (৪ জুন) সরেজমিন ঘুরে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, দনিয়া ও রায়েরবাগ হাটে দেখা যায়, হাটে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। যারা হাটে যাচ্ছেন, অনেকেই পছন্দসই গরু কিনে ফিরছেন। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখনও বড় গরুর প্রতি চাহিদা তেমন দেখা যাচ্ছে না।

এছাড়া, স্থায়ী গাবতলী ও সারুলিয়া হাট ছাড়াও হাট বসেছে বিভিন্ন খালি জায়গা ও মাঠে। এর মধ্যে উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলক্ষেত, বাড্ডা, রামপুরা, পোস্তগোলা, দনিয়া, লালবাগ, শাহজাহানপুর প্রভৃতি এলাকায় বসেছে অস্থায়ী হাট।

এক বিক্রেতা বলেন, মাঝারি সাইজের গরুর বিক্রি হচ্ছে। বড় গরুর দরদাম করছে না কেউ, ফলে আমরা আতঙ্কে আছি। বড় গরুর চেয়ে মাঝারি গরুই এখন হটকেক।

ক্রেতাদের অনেকে বলছেন, এবার গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। তবে বিক্রেতাদের দাবি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কম, তবে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে।

অন্যদিকে, ফরিদপুর থেকে আসা এক খামারি জানান, তিনি ২৫টি ছোট গরু এনেছিলেন, বিক্রি হয়েছে মাত্র তিনটি। তিনি বলেন, বেচাকেনা এখনও জমে ওঠেনি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগের দুই দিন ও শেষ রাতেই মূলত বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি হয়। অনেক ক্রেতা গরু রাখার জায়গার অভাবে শেষ মুহূর্তে হাটে আসেন। তাই সবাই এখন তাকিয়ে আছেন ‘লটারির রাত’ অর্থাৎ ঈদের আগের রাতের দিকে, যেদিন গরুর দাম বাড়তেও পারে, কমতেও।

গরু কেনার পর পরিবহন নিয়ে ভোগান্তির কথাও উঠে এসেছে ক্রেতাদের মুখে। গরু পরিবহনের জন্য পিকআপ ভ্যানের ভাড়া অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।

বেচাকেনার পাশাপাশি রাজধানীর হাটগুলোতে জমে উঠেছে উৎসবের আমেজ। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে হাটে যাচ্ছেন। তবে হাটে ভিড় সামলাতে হাট কমিটির তরফ থেকে বারবার সতর্কতা দিলেও দর্শনার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

চলতি বছরের কোরবানির হাটগুলোতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চাহিদা দেখা গেছে ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুতে। বড় গরুর বেচাকেনা এখনও জমে না উঠলেও বিক্রেতারা শেষ মুহূর্তের দিকেই আশাবাদী। রাজধানীজুড়ে হাটগুলোর জমজমাট পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, ঈদের আগের দিনগুলোতে পশু বেচাকেনা আরও তুঙ্গে উঠবে।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ