বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বিমানবন্দর ত্যাগ করার পর গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হবেন। এদিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা বাইরের সড়কে জড়ো হন।
দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের মুখে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান। বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত ভিড় ও যান চলাচল বিবেচনায় নিয়ে সক্রিয় রয়েছে ট্রাফিক পুলিশও।
দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো অবস্থান নিয়েছে। বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি, লো মেরিডিয়েন থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত ছাত্রদল, খিলক্ষেত থেকে র্যাডিসন হোটেল পর্যন্ত যুবদল, র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান নেবে।
এছাড়া, বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত কৃষক দল, কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন পর্যন্ত শ্রমিক দল, শেরাটন থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত অবস্থান করবে ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল। বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত থাকবেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মহিলা দলের অবস্থান থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার জন্য একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠান, যেটিতে করেই তিনি লন্ডন যান এবং একই বিমানে করেই আজ দেশে ফিরেছেন।
সোমবার (৫ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে দোহায় বিরতি দিয়ে সকালে ঢাকায় অবতরণ করে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এই বিমান।
এ সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন তার দুই পুত্রবধূ—ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।