• সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন

স্বতন্ত্র হেলথ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের সুপারিশ কমিশনের

admin
আপডেটঃ : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

  • নিউজ ডেস্কঃ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন। এতে দেশে একটি স্বাধীন ও স্থায়ী কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এই কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে বিনামূল্যে ও স্বতন্ত্র হেলথ ক্যাডার সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে জনবল নিয়োগ, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা বৃদ্ধি, রোগীদের বিদেশমুখীতা কমাতে নতুন হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব করেছে কমিশন।

স্থ্য সেবা, শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিভাগে লাইন প্রমোশনের জন্য পর্যাপ্ত পদসোপান তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কর্মকর্তাদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ‘সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিস’-এ প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একাডেমিক ও সার্ভিস হাসপাতাল হিসেবে ভাগ করে তাদের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ স্ব-স্ব বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

নতুন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পূর্বেই প্রয়োজনীয় ও দক্ষ জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা এবং উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের জন্য ডিজিটাল হাজিরা ও সরেজমিনে তদারকি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যার পরিবর্তে চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর সংখ্যা অনুপাতে বাজেট বরাদ্দ এবং দালালদের দৌরাত্ম্য অবসানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের স্বার্থে ভারসাম্য রেখে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন এবং ল্যাবরেটরিগুলোর মান গ্রহণের জন্য একটি রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়েছে।

সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, আইএইচটি এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সদর জেনারেল হাসপাতালসমূহে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জন্য ফিজিওথেরাপি বিভাগ এবং ফিজিওথেরাপিস্ট পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।

গ্রাম পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব প্রদান এবং সরকার সুনির্দিষ্ট শর্তে বাজেট বরাদ্দ দিয়ে কেন্দ্রগুলো পরিচালনা আউটসোর্স করার সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন।

এর মধ্য দিয়ে দুই ধাপে গঠিত ১১ সংস্কার কমিশনের সবগুলো প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা পড়ল।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ