নারী সংস্কার কমিশনকে সামনে রেখে, নারীকে পাবলিক স্পেসে ‘বেশ্যা’ বলার অধিকার কারও নেই, এই মর্মে অ্যাডভোকেট পলাশের মাধ্যমে এই মামলা দাখিল করেন তারা।
লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- এনসিপির নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী এবং নীলা আফরোজ। সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উম্মে রায়হানা, উম্মে ফারহানা ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া।
বিবৃতিতে তারা বলেন, নারীদের প্রতি এই ধরনের নিপীড়নের সুযোগ নতুন বাংলাদেশে নেই। বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেই সুযোগ একেবারেই থাকছেনা। জুলাই অভ্যুত্থানে নারীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজেই নতুন বাংলাদেশ সবার হবে এই আশাবাদও তারা ব্যক্ত করেন।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের প্রস্তাবনায় যারা নারী সংস্কার কমিশন গঠন করতে গিয়েছেন এবং কাজ করেছেন তাদেরকে এই ধরনের অপমান বাংলাদেশের নারীদের জন্য ভয়ংকর। নারীর স্বাধীনতা এবং জীবনমানের ওপর যে প্রস্তাবনা বানানো হয়েছে সেটি নিয়ে দ্বিমত পোষণের সুযোগ থাকছে কিন্তু গালি দেবার সুযোগ নেই।
তারা হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার কথাও তুলে ধরেছেন। আওয়ামী সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল কীভাবে এই ধরনের পাবলিক সমাবেশ করে এ ব্যাপারেও লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেন।
তারা আরও প্রশ্ন করেন, ইসলামী যে আইন দেশে আছে সে অনুযায়ী কি হেফাজতের নেতারা তাদের পরিবারের নারীদের সম্পত্তি দিয়েছেন?