বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ড চলাকালীন আসামি কামাল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই দিন এ মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হৃদয় মিয়াজীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ২১ এপ্রিল এ মামলায় কামাল শেখসহ তিন আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যরা হলেন আলভী হোসান জুনায়েদ এবং আল-আমিন সানি। বর্তমানে তারা রিমান্ডে।
গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৪টার পর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত হয়। ওই ঘটনার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন। এ ঘটনার পরের দিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারীসহ আটজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।