★ নিউজ ডেস্কঃ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পিএসজি। দুই দলের ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় ছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পিএসজি পরীক্ষায় পাস করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কারণ, কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফরাসিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এদিন ফ্রান্সে মাঠে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা দিয়ে রেখেছে পিএসজি। মরগ্যান রজার্স সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর পিএসজির হয়ে একে একে জালের দেখা পান দিজিরে দুয়ে, খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া ও নুনো মেন্দেস।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য ধরে রেখে খেলতে থাকেন পিএসজি। সেই মার্টিনেজের পরীক্ষারও শুরু কিক অফের একটু পর থেকে। অষ্টম মিনিটে উসমান দেম্বেলের বুলেট গতির শট ফিস্ট করে প্রথম পরীক্ষায় উতরে যান তিনি।
আক্রমণের ঝড় বয়ে দিলেও পিএসজি পাচ্ছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। বরং খেলার ধারার বিপরীতে ৩৫তম মিনিটে গোছালো প্রতি আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় ভিলা। মাঝমাঠে পিএসজি এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে জন ম্যাকগিনের বল কেড়ে নেওয়া থেকে আক্রমণের শুরু।
কয়েক পা ঘুরে বল যায় মার্কাস র্যাশফোর্ডের পায়ে। তার পাস ধরে ইউরি তিলেমানাস আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান, নিখুঁত ট্যাপে জালে জড়িয়ে দেন রজার্স। পিএসজি সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় ভিলা।
ভিলার এই আনন্দ অবশ্য টেকেনি বেশিক্ষণ। বাম দিকের বক্সের উপরে কিছুটা এগিয়ে জায়গা করে নিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন দুয়ে, চেয়ে-চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না মার্টিনেজের। সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে ভিলার বক্সে ভীতি ছড়াতে থাকে পিএসজি। ইউরোপ সেরার মঞ্চে প্রথমবারের মতো অভিজ্ঞ পিএসজির মুখোমুখি হওয়া ভিলা ৪৯তম মিনিটে পড়ে পিছিয়ে। কাছের পোস্ট দিয়ে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন কাভারাৎস্খেলিয়া। বলের লাইনে থাকলেও মার্টিনেজ পারেননি ন্যুনতম প্রতিরোধ গড়তে।
৫৮তম মিনিটে হাকিমির শট আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি মার্টিনেজ। কোণঠাসা ভিলার এ অর্ধের সেরা চেষ্টা ৭২তম মিনিটে, তবে রজার্সের শট ফিরিয়ে জানলুইজি দোন্নারুম্মা পিএসজিকে রাখেন জয়ের পথে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও পরাস্ত হন এই গোলরক্ষক। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে মেন্দেস দারুণ ডজে সামনে থাকা এক ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন। এতে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।