এইচ.এম.রেজাঃঃ
দেশের পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ৭৭ বছর চলছে এই দলটির। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কে এম দাস লেনের কাজী বশির উদ্দিন আহমেদ (হুমায়ূন সাহেবের বাড়ি) রোজ গার্ডেনে শ’তিনেক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নতুন দলের যাত্রা শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সময়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অনেকে এই দলের নেতৃত্ব থাকলেও মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাত ধরে আওয়ামীলীগ প্রাণবন্ত রূপ লাভ করে। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগের কারনে অনেক দুর এগিয়েছেন। প্রথম কমিটিতে শেখ মুজিব ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত শেখ মুজিব ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত দলের সভাপতি ছিলেন মাওলানা ভাসানী।
১৯৫৭ সালে মাওলানা ভাসানী নতুন দল ন্যাপ গঠন করে আওয়ামীলীগ ছেড়ে চলে যায়। তখন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। ১৯৬৪ সালে তর্কবাগীশ সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বছর শেখ মুজিব ছয়দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ছয়দফা কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির এক বড় পরিবর্তন ঘটে।
বঙ্গবন্ধুর ছায়াশক্তি ছিলেন তাজউদ্দীন
শেখ মুজিবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন ছিলেন একজন অসম্ভব প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবীদ এবং শেখ মুজিবের বিশ্বস্ত সহযোগী। দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ মুজিব যে তাঁর রাজনৈতিক লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন বাধা ছাড়া এগিয়ে ছিলেন, তার বড় কারণ তাজউদ্দীন আহমদ তার ধীরস্থির পরিকল্পনা ও নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করা। মুজিব-তাজউদ্দীনের সমন্বিত রাজনীতি একদিকে আওয়ামীলীগ বড় হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে, অন্যদিকে দেশের রাজনীতিও একটি বিশেষ লক্ষ্যে অগ্রসর হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। শেখ মুজিবের মতো সাহসী এবং দূরদর্শী নেতা আওয়ামীলীগের মতো দল এবং দলের অসংখ্য নির্ভরযোগ্য সহযোগী না পেলে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাঙালির ইতিহাসের প্রথম স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো কি না, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
স্বাধীনতার পর প্রথম পরাধীনতার থাবা
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার পর, তার প্রয়োজনীয় সময় না দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু দুষ্কৃতকারীরা তাকে সপরিবার হত্যা করলো। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত সাম্প্রদায়িক শক্তি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং ভারতবিরোধী চক্রের সম্মিলিত আঘাত মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি।
বঙ্গবন্ধুর মনে একটি বারের জন্য আসেনি যে বাঙালিরা তাঁকে হত্যা করতে পারে! তিনি যে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, সেই রাষ্ট্রে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে ছিলেন। কেউ ভাবতেও পারিনি এই ভাবে সপরিবারে হত্যাকাণ্ড ঘটাবে। বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চাইলো কিন্তু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত্যু বঙ্গবন্ধু আরো শক্তিশালী হলো। তার রেখে যাওয়া স্বপ্নের বাংলাদেশ ও আওয়ামীলীগের হাল ধরেন তার সুযোগ সন্তান শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ ও ২০২৪ একটি ফ্রেমে আবদ্ধ
বঙ্গবন্ধু হীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের জন্য এক নতুন বাস্তবতা তৈরি হলো। বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু আওয়ামীলীগ আছে। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না দেওয়ার জন্য অনেক অপচেষ্টা করা হয়েছে। খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতার চূড়ায় বসে সামরিক ডিকটেটর জিয়াউর রহমান রাজনীতি বিদদের জন্য রাজনীতিকে ‘ডিফিকাল্ট’ করার যে প্রকল্প নিয়ে ছিলেন, তা মোকাবিলা করে আওয়ামীলীগকে পথ তৈরি করে চলতে হয়েছে। ওই সময় কঠিন পথ পারি দিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের জন্য ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
বঙ্গবন্ধু হীন বাংলাদেশে
১৯৮১ সালে আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর সারা দেশে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক-দের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়ে ছিল, সেটাই ছিল আওয়ামীলীগের পুন র্জাগরণের জাদুর কাঠি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের যখন সারা দেশে জোয়ার বইছে তখন আবার শুরু করলো আওয়ামীলীগ বিরোধী, ভারত বিরোধী, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনি চক্রে সম্মিলিত ভাবে একটি রাজনৈতিক ধারা গড়ে তুলেছে।
সুতরাং শেখ হাসিনা এমন একটি সময়ে দলের হাল ধরলেন তখন রাজনীতির মাঠ আওয়ামী লীগের অনুকূল ছিল না। কিন্তু যার ধমনিতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বহমান, তিনি তো কঠিনকে ভয় পাওয়ার মানুষ নয়। দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি আওয়ামীলীগকেও পুনর্গঠনের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
সেই বছর জিয়াউর রহমান খুন হয়। জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর দেশে নতুন ভাবে রাজনিতীর মেরুকরণ সৃষ্টি হয়।তারপর শেখ হাসিনারনেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের দল আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন এরশাদবিরোধী আন্দোলনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত, ৮ বছর।
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব
বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া উত্তর শুরি তারই রক্ত শেখ হাসিনা, ১৯৮১ থেকে এখন পর্যন্ত— ৪৫ বছর। ৭৮ বছরে পা দেওয়া আওয়ামীলীগের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে সেই একই চক্র শেখ হাসিনাকে বংশ সহ-পরিবারের সকল সদস্যের হত্যা করতে চেয়েছিল আল্লাহ পাক তাদের কে বাচিয়ে রেখেছেন। পিতা শেখ মুজিব যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, কন্যা শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় বিশ্বসভায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
অনেককে বলতে শুনেছি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে আদর্শিক ত্রুটি-বিচ্যুতি বেশি। বঙ্গবন্ধুর সময় এবং শেখ হাসিনার সময় এক নয়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অবস্থাও এক নয়। রাজনীতিতে এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগকে অনেক ধরনের লড়াই করতে হয়েছে ,প্রধানত আঞ্চলিক বৈষম্য, শোষণ-বঞ্চনা এবং গণতন্ত্রের জন্য। আর স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর সময় মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং নাগরিকদের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করা ছিল আওয়ামীলীগের মূল কাজ।
শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগকে ক্ষমতার রাজনীতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে কৌশল এবং আদর্শের ক্ষেত্রে নমনিয় হতে হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়েছে। শত্রু মিত্র বাছাই করতে শেখ হাসিনাকে অনেক হিসাবনিকাশ করতে হয়েছে। কখনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন সময় অন্য দলগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সমঝোতা করতে হয়েছে। এক পা এগোনোর জন্য দুই পা পেছানোর রাজনীতির কৌশল চর্চা করে চলতেন শেখ হাসিনা সুফলও পেয়েছেন। শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিলো।
দেশের অভ্যন্তরে সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ ঘাটতি দূর করতে পারছিলেন না। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোরতা দেখাতে গিয়ে বিপদে পড়েন দল। যে কারণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক এবং আদর্শিক অবস্থানে সংস্কার এবং পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যক হয়ে পরেন। আওয়ামীলীগের কাছে নয়, দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল শেখ হাসিনার কাছে। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগ যে সব ক্ষতিকর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সেই সব ভাইরাস মুক্ত হওয়ার জন্য উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।যে কারণে ঐতিহ্যবাহী দলটি এই অবস্থায় পরতে হতে হয়েছে। আজ বাংলাদেশের শকুনেরা বলছে আওয়ামী লীগ কেয়া।ত পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারবে না। প্রিয় বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
দীর্ঘ বছর দলটি ক্ষমতায় থাকলেও কর্মীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই। যে কারণে কর্মীদের রাজপথে নামানো যায় নাই। এমপি, মন্ত্রী, মেয়র ও নেতাদের কাছে, বিশেষ লোক ছাড়া কেউ যেতে পারে নাই। প্রশাসন তাদের অবমূল্যায়ন, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। দলীয় পরিচয় দিলে আরো বেশি নির্যাতন করতো। যে কারণে কর্মীরা ছিল হতাশার মধ্যে।কর্মীদের এই ক্ষোভ থেকে বের হয়েছে। দেশের মানুষ বুঝতে পারলো কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। অতচ সরকারের এতো গুলো গোয়েন্দা সংস্থা তারা কিছুই বুঝতে পারলো না, এই খানেই অনেক সমস্যা ছিল। কিছু পুলিশ সদস্য ছাড়া সবাই যার যার অবস্থান আছে। দেশের এই অভিজ্ঞতা থেকে শেখা উচিত দলের কর্মীদের ছাড়া নেতা ও দেশ নিরাপদ নয়। যাইহোক আল্লাহ পাক শেখ হাসিনাকে বাচিয়ে রেখেছেন তাই আল্লাহর কাছে দেশের মানুষের শুকরিয়া আদায় করেন। ১৯৭১সালের পরাজিত শত্রু, ৭৫ সালের খুনিরা , বিভিন্ন সময় দেশের মানুষের সম্পদ লুণ্ঠন কারী, ভেজাল ওষুধ দিয়ে শিশু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা সাম্প্রদায়িক শক্তি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কারী এবং ভারত বিরোধী চক্র একত্রিত হয়ে শেখ হাসিনাকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল । আল্লাহ পাকের রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে আছে পরিবারসহ। শেখ হাসিনা বেঁচে আছে, বাংলাদেশ বেঁচে আছে। বেঁচে আছে বাঙালি জাতি ও ৭১ উর্দু ভাষা থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষ।
শেখ হাসিনা ফিরলে কর্মী বাঁচবে
পৃথিবীতে অনেক বড়ো ও ভালো কাজ হয়েছে মানুষের আবেগের জায়গা থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,লেনসন ম্যান্ডেলা, আইনস্টাইন সহ-পৃথিবীতে অনেকে নিজের আবেগ কে কাজে লাগিয়ে মানুষের ভালোবাসা জয় করে দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। তাদের জন্য কর্মীরা জীবন দিয়ে বাংলা ভাষা এনেছেন এবং একটি স্বাধীন দেশে দিয়েছেন। আজ বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা সুন্দর ও উন্নত দেশে গরেছেন। আর এই দেশের সে-ই শকুনেরা শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করে আওয়ামী লীগের প্রতি নেতা, কর্মী ও সমর্থক দের ঠুকে ঠুকে খাচ্ছে। এই ভাবে মৃত্যু বরণ,গ্রেফতার ও ঘৃণার বঞ্চনা না হয়ে এই সংকেত গুলো আপনাদের মাথায় অনুধাবন করে আপনারা বুদ্ধি মাত্তর সাথে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাজপথে নামুন। নেতাদের উপর রাগ করে,মন খারাপ করে বা ঘৃণা করে মানুষিক ভাবে অসুস্থ হওয়া বা নিজেদেরকে শকুনের কাছে বিলিয়ে দিলে দেশে বাজবে না আপনাদের প্রিয় নেতা শেখ হাসিনা ও আসতে পারবেন না। নিজেরা বাঁচুন, শেখ হাসিনাকে দেশে আনুন ও দেশকে বাঁচান।পৃথিবীতে অনেক বড়ো ও ভালো কাজ হয়েছে মানুষের আবেগের জায়গা থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,লেনসন ম্যান্ডেলা, আইনস্টাইন সহ-পৃথিবীতে অনেকে নিজের আবেগ কে কাজে লাগিয়ে মানুষের ভালোবাসা জয় করে দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। তাদের জন্য কর্মীরা জীবন দিয়ে বাংলা ভাষা এনেছেন এবং একটি স্বাধীন দেশে দিয়েছেন। আজ বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা সুন্দর ও উন্নত দেশে গরেছেন। আর এই দেশের সে-ই শকুনেরা শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করে আওয়ামী লীগের প্রতি নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের ঠুকে ঠুকে খাচ্ছে। এই ভাবে মৃত্যু বরণ,গ্রেফতার ও ঘৃণার বঞ্চনা না হয়ে এই সংকেত গুলো আপনাদের মাথায় অনুধাবন করে আপনারা বুদ্ধি মাত্তর সাথে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাজপথে নামুন। নেতাদের উপর রাগ করে, মন খারাপ করে বা ঘৃণা করে মানুষিক ভাবে অসুস্থ হওয়া বা নিজেদেরকে শকুনের কাছে বিলিয়ে দিলে দেশ বাজবে না। আপনাদের প্রিয় নেতা শেখ হাসিনাও আসতে পারবেন না। হায়েনার দল এক হয়ে আক্রমণ করেছে, শকুনেরা এক হয়ে ঠুকে ঠুকে খাচ্ছে। আপনারা এক হয়ে এদের প্রতিহত করে, বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে শান্তি ফিরিয়ে দিতে হবে। নিজেরা বাঁচুন, শেখ হাসিনাকে দেশে আনুন তার আগমনের মধ্য দিয়ে দেশকে বাঁচান।