বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বক্তব্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা করেন বিএনপির একদল নেতাকর্মী। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে এবি পার্টির কয়েক নেতাকর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন। রোববার দুপুরে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এদিন বরিশালের রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান ছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তারা চলে যাওয়ার পর বিএনপির কর্মীরা ফুয়াদের ওপর চড়াও হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান শেষে ফুয়াদ উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ছদ্মাবরণে সেতু নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। পাথর-বালু, রড-সিমেন্ট সরবরাহ কাজ পেতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেওয়া হয়। এটা অব্যাহত থাকলে নির্মাণকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।’ বক্তব্য দেওয়ার পরই বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বক্তব্য ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত’ অভিযোগ তুলে তাঁর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার, কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান খোকন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আল আমিনসহ অনেকে। তখন এবি পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি প্রতিকূলে বুঝতে পেরে ফুয়াদ হেঁটে তাঁর গাড়ির দিকে রওনা হন। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’সহ তাঁকে উদ্দেশ করে স্লোগান দিয়ে পিছু পিছু যান। ফুয়াদ চলে যাওয়ার পর ওই এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
![]()