শনিবার (১০ মে) ভোর সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর বনানীর ইয়র্ক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ইয়র্ক হাসপাতালের ইমারজেন্সি কল সেন্টারে ফোন করলে একজন প্রতিনিধি খবরের কাগজকে এ তথ্য জানান।
তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ বাসায় নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মৃত্যুর সময় মুস্তাফা জামানের বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
মুস্তাফা আব্বাসীর জন্ম ১৯৩৬ সালের ৮ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায়। তিনি লোকসংগীত শিল্পী ও সুরকার আব্বাসউদ্দীন আহমদের ছোট ছেলে।
তার বড় ভাই মোস্তফা কামাল ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। তার বোন ফেরদৌসী রহমান এ দেশের একজন বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী।
তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ‘কাজী নজরুল ইসলাম এবং আব্বাসউদ্দীন আহমদ গবেষণা ও শিক্ষা কেন্দ্র’-এর গবেষক। ১৯৯৫ সালে তিনি একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া নজরুল ইসলামকে নিয়ে কাজের জন্য তিনি ২০১৩ সালে ‘নজরুল মেলা আজীবন সম্মাননা’ লাভ করেন।
আব্বাসী ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মুহম্মদ হোসেন খসরু এবং ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খাঁর কাছে সংগীতের তালিম নেন। তিনি মোট ৫০টি বই প্রকাশ করেন। ভাওয়াইয়া গানের উপর দুটি বই প্রকাশ করেন যার মধ্যে ১ হাজার ২০০ গানের উল্লেখ রয়েছে।
জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি, নিফফারি এবং সুলতান বহুর কবিতা নিয়ে কয়েকটি বইও তিনি প্রকাশ করেছেন।
তার অন্য কয়েকটি বই হলো- আব্বাসউদ্দীন আহমদ, মানুষ ও শিল্পী, কাজী নজরুল ইসলাম, ম্যান অ্যান্ড পোয়েট, পুড়িব একাকী, বাংলা ও ইংরেজিতে নজরুল এবং আব্বাসউদ্দিন স্মৃতিময় অ্যালবাম ‘সাগা অব টাইম’।
তিনি ‘আমার ঠিকানা’ এবং ‘ভরা নদীর বাঁকে’ নামের দুটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বিটিভিতে সঞ্চালনা করেছেন।
তার স্ত্রী প্রয়াত আসমা আব্বাসী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও লেখিকা।
তাদের দুই মেয়ে- সামিরা আব্বাসী এবং শারমিনী আব্বাসী। সামিরা লোকসংগীত, নজরুলসংগীত ও আধুনিক গানের চর্চার পাশাপাশি গবেষণা করছেন।