বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১টার দিকে আইভীর বাড়িতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে নারী-পুরুষ–শিশুদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, দেওভোগ এলাকায় আইভীর পুরোনো বাড়ির সামনে কয়েক পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।
জানা যায়, রাতে সাবেক নাসিক মেয়র আইভীকে আটক করতে দেওভোগ এলাকায় আইভীর বাসভবন চুনকা কুটিরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনসহ অন্তত ৫০ জন নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যের একটি দল প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে রাস্তায় নেমে তার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় আইভীর বাড়ির প্রবেশ পথের দুই রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। এতে পুলিশ সদস্যরাও বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ সময় আইভীর পুরোনো বাড়ির সামনে অবস্থানরত বিক্ষুব্ধ মানুষদের উদ্দেশে হ্যান্ডমাইকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদি বলেন, আইভীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। আমরা তাকে নিয়ে যাব। আপনারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। আপনারা যদি অবস্থান করেন করতে পারেন, আমরাও এখানে অবস্থান করব এবং তাকে নিয়ে যাব।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা মডেল থানায় ছয়টি মামলা আছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করতে তার নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আইভীর বাড়িতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।