এর আগে, গত ৬ মে মামলার ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন চয়নিকা চৌধুরী। তবে পূর্বের ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাকে তিরস্কার করেন বিচারক। পরে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৩ সালের ১৪ মে এই মামলা করেন প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ। এ মামলার পর ২০১৪ সালে ২ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন চয়নিকা চৌধুরী। ওই বছরের ৭ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চয়নিকা চৌধুরীর মাধ্যমে প্রযোজক রাশেদুল ইসলাম রিয়াজ ‘জীবন সুন্দর হোক’ নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। এজন্য ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী চয়নিকাকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন বাদী। একইসঙ্গে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর চয়নিকা বাদী রিয়াজকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।
অভিযোগে বলা হয়, আসামি চুক্তিবদ্ধ হয়েও নাটক নির্মাণ করেননি। যোগাযোগ করলে তিনি নাটক নির্মাণ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তখন টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৩ সালের জানুয়ারি চেক নগদায়ন করতে অনুরোধ করেন। পরে একাধিকবার টাকা নগদায়ন করতে গেলে চেক ডিজঅনার হয়। টাকা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি।