দমকল সূত্রে জানা গেছে, আগুন লাগার সময় হোটেলটির ভেতরে ৪৭টির মতো কক্ষে শতাধিক মানুষ অবস্থান করছিলেন। তাদের অনেকেই ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
হোটেলটি ধোঁয়ায় এমনভাবে ভরে যায় যে, সেটি ‘গ্যাসচেম্বারে’ রূপ নেয় বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মকর্তারা। ভিতরে প্রবেশ করা সম্ভব না হওয়ায় দমকলকর্মীরা জানালা ভেঙে মই দিয়ে চার ও পাঁচ তলায় উঠে উদ্ধার অভিযান চালান।
নিহতদের মধ্যে আনন্দ পাসোয়ান নামে একজন আতঙ্কে ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন। তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি বলে জানিয়েছে দমকল বিভাগ। হোটেলের ভিতরে আরও মরদেহ থাকতে পারে—এমন আশঙ্কায় উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা রাত ৩টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার তদারকি করেন।
এদিকে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। সূত্র : আনন্দ বাজার