• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নকে হারিয়ে স্বপ্নজয়ে ইন্টার মিলান

admin
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

*নিউজ ডেস্কঃ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লিগে বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল ইন্টার মিলান। তাই দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল তারা। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে জার্মান জায়ান্টদের ২-২ গোলে রুখে দিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। এতে ই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে ইন্টার মিলান।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মিলানের সান সিরোতে প্রথম তিন মিনিটে দুই দলেরই একটি করে প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় রক্ষণে। ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারে বায়ার্ন। টমাস মুলারের নিচু শট ঠেকান ইয়ান সমার।

নবম মিনিটে প্রথম শট লক্ষ্যে রাখতে পারে ইন্টার। বক্সের বাইরে থেকে ফেদেরিকো দিমার্কোর প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক ইয়োনাস উরবিগ। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আক্রমণে দাপট দেখালেও পরিষ্কার কোনো সুযোগ অবশ্য তৈরি করতে পারেনি বায়ার্ন। গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে নিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন কেইন। স্বাগতিকরা হেডে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর লেয়ন গোরেটস্কা বল পেয়ে বক্সে খুঁজে নেন ইংলিশ স্ট্রাইকারকে।

এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে নিচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। একটুও নড়ার সুযোগ পাননি গোলরক্ষক। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কেইনের গোল হলো ১১টি।

তবে ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। ৫৮ থেকে ৬১ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচে ২-১ ও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার। প্রথম গোলটি করেন মার্তিনেস। কর্নারে এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের মাথা ছুঁয়ে বল বায়ার্নের এক ডিফেন্ডারের পায়ে বাধা পাওয়ার পর, জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।

ইন্টারের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোলের কীর্তি গড়লেন মার্তিনেস। এরপর বক্সের বাইরে থেকে মাত্তেও দারমিয়ানের জোরাল শট গোললাইনে প্রতিহত হওয়ার পর, ওই কর্নারেই হেডে গোল করেন পাভার্দ। ৭৬তম মিনিটে লড়াইয়ে আবার উত্তেজনা ফেরায় বায়ার্ন। কর্নারে হেডে ম্যাচে ২-২ সমতা টানেন ডায়ার।

তখন এক গোলের ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে ইন্টারের ওপর চাপ বাড়ায় বায়ার্ন। শেষ দিকে ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দারুণ সুযোগও পেয়ে যায় সফরকারীরা। কিন্তু মুলারের হেডে জোর ছিল না তেমন, সেভ করে ইন্টারকে রক্ষা করেন সমার।

একেবারে শেষ মুহূর্তে কিংসলে কোমানের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার পরই শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা সান সিরো। সেমিফাইনালে তারা লড়াই করবে বার্সেলোনার সঙ্গে।

Loading


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ