★ নিউজ ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ ও ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে গাজীপুরের বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও গাজীপুর মহানগরীর কোনাবড়ি, কাশিমপুর ও বোর্ডবাজারে কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা চালানো হয়।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে এ হামলার ঘটনাগুলো ঘটে বলে জানা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন।
এর আগে ‘মার্চ ফর গাজা’র প্রতি সংহতি জানিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী, বোর্ডবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন লাখো মানুষ।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে রওনা দিলে বহিরাগতরা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। বিকেল ৫টার পর থেকে পোশাক কারখানা ছুটি হলে খণ্ড খণ্ড মিছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে একত্রিত হয়। পরে বিশাল মিছিল নিয়ে ঢাকামুখী হলে বহিরাগতরা বিভিন্ন পোশাক কারখানাসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ মিছিল করলেও বিকেলে কোনাবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড, কনকর্ড নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের মাইমুন ও মতিন গার্মেন্টস খোলা রাখায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী মিছিল থেকে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলাকারীরা কোনাবাড়ীতে বাটা শো-রুম, আজওয়া, পিজ্জা হল, এপেক্স, স্বপ্ন সুপার শপ, বিউটি সুইট মিটসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালান।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন বলেন, বিকেলে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। কোনাবাড়ীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি জানিয়ে বেশকিছু দোকানপাট ও শপিংমলে হামলা এবং ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধরা। এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।