তিনি আরও বলেন, এখন আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সে দায়িত্বও আপনাদেরই। কারণ প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব রাষ্ট্রযন্ত্রও আপনাদের নিয়ন্ত্রণে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা কী করবেন, সেটা আপনাদেরই ঠিক করতে হবে।’
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চারু শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের অগ্নিদগ্ধ বাড়ি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের অনুসারীরা ঘাপটি মেরে আছে বিভিন্ন তৃণমূলে, সমাজের নানা স্থানে। ওদের কাছে পেট্রোল কিনে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো অর্থ আছে, মানুষকে হত্যা করার জন্য অস্ত্র কেনার সামর্থ্য আছে। এসব দমন করতে হলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কী ধরনের আইন প্রণয়ন করতে হবে, সেটা জনগণের কাছে খোলাসা করুন। যেহেতু প্রশাসন আপনাদের হাতে।
তিনি বলেন, দোসরদের অনেকেই পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশসহ অনেক দেশে। কিন্তু যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে, তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কার দ্বারা? প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের তো এটা জানার কথা। যারা ১৫ বছর যাবৎ শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে—তারা আজ এ জনসমুদ্রের ভেতর কোথায় লুকিয়ে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে, তাহলে তো এ সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।
রিজভী আরও বলেন, এ সরকার নির্বাচন নিয়ে কী তালবাহানা করছে, তা আমরা দেখছি। এ সরকার তো গণতন্ত্র সংগ্রামের ফসল। তার তো প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে যে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগল কী করে। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার চিত্রকর্ম দিয়ে, শৈল্পিক চেতনা দিয়ে সে প্রতিবাদ করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সভাপতি আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া হাবু, যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জিন্নাহ খান জিন্নাহ, ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজীব প্রমুখ।
