• শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

রাজধানীতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে যে নির্দেশনা দিলো ডিএমপি

admin
আপডেটঃ : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানী ঢাকার রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি সংক্রান্ত কাজ দিনের পরিবর্তে রাতে সঠিকভাবে দ্রুত সম্পাদন প্রসঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে একগুচ্ছ অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির জারি করা এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি বুধবার (১২ মার্চ) পাঠানো হয়েছে গণমাধ্যমে।

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে যা বললো ডিমপি-

১। কিছু কিছু সংস্থা/ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিনের বেলা বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিসের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে থাকে, যা পুনরায় মেরামত করতে অনেক সময় ৭ থেকে ৮ মাস লেগে যায়।

২। প্রায় সকল ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি না করেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়।

৩। সকল খোঁড়াখুঁড়ির ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা কর্তন করা হয়।

৪। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির সময় ট্রাফিক সিগন্যালের জন্য দিকনির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগানোর বিধান থাকলেও তা করা হয় না।

৫। এক লেনে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাটি/আবর্জনা অন্য লেনে ফেলে রাখার ফলে দুই লেনের যান চলাচল ব্যাহত হয়।

৬। অনেক ক্ষেত্রে একই সাথে রাস্তার উভয় পাশে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা হয়, ফলে রাস্তা উভয় দিক থেকে সরু হয়ে যায়।

৭। কিছু ক্ষেত্রে রাতে রাস্তা খোঁড়াখুড়ি করলেও কাটা অংশ সঠিকভাবে ভরাট বা লোহার শিট না দেয়ার ফলে দিনের বেলায় সে রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।

৮। অনেক ক্ষেত্রে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান/সংস্থা ইউটিলিটি সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যেমন: ক্যাবল/পাইপ ইত্যাদি) সংগ্রহ করার পূর্বেই রাস্তা খনন করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে।

৯। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ বা ডাইভারশনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয় না।

এসব কারণে ঢাকা মহানগরীর যানজট বৃদ্ধি পেয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি হয় এবং যানবাহন রাস্তায় অলসভাবে বসে থাকার ফলে শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে উল্লেখ করা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে।

ইউটিলিটি সার্ভিসের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি/কাটাকাটির ক্ষেত্রে ডিএমপির পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও ঠিকাদারকে অনুরোধ করা হয়। এ বিষয়ে ডিএমপির নির্দেশনা—

১। ডিএমপি সদর দফতরের সম্মতি ব্যতীত রাস্তা কাটাকাটি/খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু না করা।

২। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কোনো রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ না করা। এ ক্ষেত্রে রাতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে সকালে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

রাস্তা কাটার পূর্বে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে:

ক) কাজ শুরু এবং শেষ করার সময় (অর্থাৎ কোন তারিখে কাজ শুরু এবং শেষ হবে তা) পূর্বেই ঘোষণা করতে হবে এবং ওই সময়ের মধ্যে অবশ্যই কাজ শেষ করতে হবে।

খ) রাস্তা খননের স্থান ও এর আগে বা পরে ২০০ মিটার পর্যন্ত যথাযথ ট্রাফিক নির্দেশনা এবং ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট লাগাতে হবে।

গ) নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল অবশ্যই নিয়োগ করতে হবে।

ঘ) পথচারী ও যানবাহন চলাচলের জন্য অবশ্যই বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

ঙ) কাটা রাস্তা ব্যবহার উপযোগী করার জন্য লোহার শীট রাস্তা কাটার পূর্বেই সেখানে আনতে হবে।

চ) রাস্তার একটা লেন রাতের বেলা কাটা যেতে পারে, তবে সেটা অবশ্যই সূর্যোদয়ের পূর্বেই ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।

ছ) কোনো অবস্থাতেই একই রাস্তার উভয় পাশে একসাথে খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না।

জ) ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিসহ রাতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করতে হবে।

ঝ) কোনো রাস্তা রাত্রিকালে সর্বোচ্চ ৭ (সাত) দিন খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা যাবে এবং পরবর্তী তিন রাতের মধ্যে মেরামত করে দিতে হবে, এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক বা টেকনিশিয়ান নিয়োগ করতে হবে।

ডিএমপি যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারদের সহযোগিতা চেয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি রাস্তা কাটাকাটি/খোঁড়াখুঁড়ির এসব শর্ত ভঙ্গ করে ঢাকা মহানগরী এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কাজ বন্ধ করাসহ ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ